পরিবেশ দূষণে আমাদের ভূমিকা
পরিবেশ দূষণে আমাদের ভূমিকা
পরিবেশ দূষণে |
বিশ্ব জগতের সব কিছুই সর্বদা পরিবর্তনশীল। প্রাচীনকালের মুক্ত বাসস্থান থেকে শুরু করে আধুনিক ইট পাথরের অট্টালিকা কোনো কিছুই বাদ যায় না এই পরিবর্তনের ছোঁয়া থেকে। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত পরিবেশেরও। তবে পরিবেশের এই পরিবর্তন মূলত মানব সৃষ্ট। মানুষের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে সময়ে-অসময়ে পরিবর্তন ঘটে পরিবেশের।
একটু উন্নত জীবনের আশায় গ্রামের সহজ-সরল জীবন ত্যাগ করে মানুষ এখন শহরমুখী। ফলে দিন দিন শহরের উপর অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে। কিন্তু একটুও বাড়ছে না শহরের পরিধি। ক্রমবর্ধমান এই জনসংখ্যার বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। ফলে কুঁড়েঘরের জায়গায় স্থান পাচ্ছে শত শত সুউচ্চ অট্টালিকা। আর এই অট্টালিকা তৈরি করতে যেসব জিনিস ব্যবহার করা হয় তার বেশির ভাগই পরিবেশ দূষণে মারাত্মকভাবে কাজ করে। বিল্ডিং তৈরির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বালু। কাজ করার সময় বালু উন্মুক্ত স্থানে রাখা হয়, যা বাতাসের সঙ্গে মিশে পরিবেশের দূষণ ঘটায়। তাছাড়া বিল্ডিং তৈরির সময় পাইলিং ও ঢালাই কাজে যে-সকল মেশিন ব্যবহার করা হয় তা থেকে উত্পন্ন উচ্চমাত্রার শব্দও পরিবেশ দূষণে বড় ভূমিকা রাখে। অনেক সময় কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একাধিক বড় বড় মেশিন ব্যবহার করা হয়। যার উত্পন্ন শব্দ আশপাশের অবস্থানরত মানুষের শ্রবণ ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে।
শহরসহ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে রাস্তাঘাট তৈরি করা করা ও ক্ষয়প্রাপ্ত রাস্তাঘাটের মেরামত করা অপরিহার্য। আর এ সকল কাজ করার সময় প্রায় সময়ই নির্মাণ সামগ্রী উন্মুক্ত জায়গায় রাখা হয়। পরিবেশ যাতে দূষিত না হয় সেজন্য প্রায় সময়ই তেমন কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। শুধু তাই নয়, রাস্তায় পিচ ঢালাই করার সময়ও প্রচুর ধোঁয়া নির্গত হয়, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ।
যদি বিল্ডিং কোডসহ যাবতীয় আইনগুলো যথাসময় প্রয়োগ করা হয় এবং যেসব ক্ষেত্রে আইন নেই সেই সব ক্ষেত্রে আইন তৈরি করে যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা যায় তবে শহরাঞ্চলে পরিবেশ দূষণ উল্লেখযোগ্যহারে হ্রাস পাবে বলে আশা করি।
বি.দ্রঃ ছবিটি ইত্তেফাক থেকে সংগৃহীত ও লেখাটি ২৮ জুন ২০১৮ এ প্রকাশিত।
লেখার লিংকঃ দৈনিক ইত্তেফাক
No comments